ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে হচ্ছে আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র

B0D-357x233আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার ::

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা  মহেশখালীতে কয়লা চালিত আরো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন এ কেন্দ্র স্হাপনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা ও পরিবেশগত সমীক্ষা চালাতে সরকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর যৌথ উদ্যোগে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ৭শ’ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কতটা লাভজনক হতে পারে এবং পরিবেশগত কোনো বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করবে কি-না সে বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হবে। সমীক্ষার অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ প্লান্টের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ইতোমধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে বলে নিশ্চিত করে
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের এপ্রিলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার প্রথমে ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়ন করবে এবং পরবর্তীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যৌথ কোম্পানী গঠন করবে। মূল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৭ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন টাকা ব্যয় হবে। সরকার প্রাথমিক ব্যয় মেটাতে ৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন টাকা দেবে। বাকি টাকা দেবে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। সরকার জাপানের অর্থ সহায়তায় আরো দুটি মেগা বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করবে। সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করবে, সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন এবং বাঁধ নির্মাণ করবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমীক্ষা ও ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হবে। সরকার গৃহীত  পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান-২০১০-এর আলোকে মেগা প্রকল্পের আওতায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে সকলকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা।

পাঠকের মতামত: